logo

সময়: ০৫:০৮, সোমবার, ০৪ আগস্ট, ২০২৫ ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ০৫:০৮ অপরাহ্ন

কুষ্টিয়া শহরের বেশ কিছু রাস্তা খানাখন্দে ভরা : যেন ‘মরণফাঁদ’

Shadin Bangla
প্রতিবেদন প্রকাশ: ২৯ জুলাই, ২০২৫ | সময়ঃ ০১:১৯
photo
খানাখন্দে ভরা

স্বাধীনবাংলা নিউজ :

কুষ্টিয়া শহরের অধিকাংশ রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকলেও পৌর কর্তৃপক্ষের যেন টনক নড়ছে না। মজমপুর গেট থেকে বড়বাজার পর্যন্ত মূল সড়কটি চলাচলের উপযোগী থাকলেও আশপাশের রাস্তাগুলো এতটাই ক্ষতবিক্ষত যে রিকশা, অটোরিকশাসহ ছোট যানবাহন প্রতিদিনই উল্টে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। নাগরিকরা জীবন ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করছেন।

শহরের ২১টি ওয়ার্ডের মধ্যে কোর্টপাড়া, সরকারি কলেজ, হাউজিং, টালিপাড়া, আমলাপাড়া, কুঠিপাড়া, থানাপাড়া, জেনারেল হাসপাতাল চত্বর ও মিলপাড়াসহ প্রায় সব এলাকার সড়ক ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার ড্রেনগুলো অপরিষ্কার এবং সরু হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। বৈরী আবহাওয়ায় দুর্ভোগ যেন নিত্যদিনের সঙ্গী।

নগরবাসীর অভিযোগ, পৌর কর্তৃপক্ষ মাসের পর মাস রাস্তার ওপর কেবল খোয়া ফেলে দায়িত্ব শেষ করছে। কোন কোন সড়কে খানিকটা রোলার চালালেই পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারত, সেটিও করছে না কর্তৃপক্ষ। এমনকি থানা ট্রাফিক মোড়, রামচন্দ্র রায় স্ট্রিট, কোর্টপাড়া, র‌্যাব গলি ও হাসপাতাল মোড়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকাতেও রাস্তার দুরবস্থা চোখে পড়ার মতো। এই সব রাস্তায় প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক, বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে। অথচ এই পথেই চিকিৎসা নিতে গিয়ে অনেকে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, কুষ্টিয়া পৌরসভা প্রথম শ্রেণির হলেও নাগরিক সুবিধার চিত্র দ্বিতীয় বা তৃতীয় শ্রেণির চেয়েও নীচে। বরং বেড়েছে কর, লাইসেন্স ফি, পানির বিল ও ডিজিটাল নেমপ্লেটের নামে বাড়তি অর্থ আদায়। আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের সময় থেকেই পৌরসভার দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা বেড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ওয়াহিদুর রহমান বলেন, ‘সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। টেন্ডার শেষ হয়েছে। কিন্তু টানা বর্ষণের কারণে কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। অস্থায়ীভাবে খোয়া ফেলে কিছুটা মেরামত করা হচ্ছে। বর্ষা শেষে বিটুমিন দিয়ে টেকসই রাস্তা নির্মাণ করা হবে।’

  • নিউজ ভিউ 378