নিজস্ব প্রতিবেদক,কুষ্টিয়া :
৩৫টি কসাইখানা থেকে মাত্র ৮২ দিনে ৭৬ হাজার ৫৫০ টাকা আত্মসাৎ করেও বহাল তবিয়তে চাকরি করে যাচ্ছেন কুষ্টিয়া পৌরসভার কসাইখানা পরিদর্শক মো: ফারুক হোসেন। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, গত ৪ই এপ্রিল ২০২৫ থেকে কুষ্টিয়ার ৩৫টি কসাইখানা হতে প্রতিদিন ৫০ টাকা টাকা করে কালেকশন করেন কুষ্টিয়া পৌরসভার কসাইখানা পরিদর্শক ফারক।
মজার ব্যাপার হলো বিনা রশিদে টাকা কালেকশন করেন তিনি । প্রতিদিন ৩৫টি কসাই খানা থেকে কমপক্ষে ১৭৫০ টাকা আদায় করলেও তিনি পৌরসভায় জমাদেন মাত্র ৫শ টাকা থেকে ৬শ টাকা । প্রতিদিনের কালেকশনের হিসাব অনুযায়ী শুক্রবার সহ ৮২ দিনে কুষ্টিয়া পৌরসভার কসাইখানা পরিদর্শক মো: ফারুক হোসেন কসাইদের কাছ থেকে বিনা রশিদে আদায় করেছেন ১ লাখ ২৫ হাজার, ৭৫০টাকা । কিন্ত পৌরসভায় জমা দিয়েছেন মাত্র ৪৯ হাজার ২০০ টাকা । এ হিসেব মতে তিনি কসাইদের কাছ থেকে আদায় করা টাকার মধ্যে আত্মসাৎ করেছেন ৭৬ হাজার ৫৫০ টাকা ।
এ ছাড়া সপ্তাহে মঙ্গলবার বাদে প্রতিদিন ফজরের ওয়াক্তের পর কুষ্টিয়া পৌরবাজারে উপস্থিত হয়ে গবাদি পশু জবাই এর আগে অসুস্থ কিনা তা পরীক্ষা করার পর সুস্থ হিসেবে সীল মারার কথা থাকলেও তিনি মিরপুর উপজেলার হালসা থেকে কুষ্টিয়ায় আসেন সকল গরু-ছাগল জবাই এর পর । নাম না প্রকাশ করার শত্তের্¡ জনৈক কসাই বলেন কসাইখানা পরিদর্শক ফারুক প্রতিদিন সকাল ৮টার দিকে এসে আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চলে যান। সুস্থতার সীল জবাইকৃত পশুর মাংসে মারার কথা থাকলেও তিনি সীল মারেন না। গরু -ছাগলের মাংস বিক্রেতা সকল কসাই এর কাছ থেকে তিনি ৫০টাকা করে আদায় করেন।
এ বাপারে কুষ্টিয়া পৌরসভার কসাইখানা পরিদর্শক ফারুক বলেন, আমাকে পৌরসভা থেকে কোন রশিদ দেয়া হয়নি যার কারণে আমি টাকা নিয়ে রশিদ দিতে পারিনা। টাকা আত্মসাতের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। এ বিষয়টি পৌর প্রশাসক (এডিসি শিক্ষা) জনাব মিজানুর রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, রশিদ ছাড়া পৌরসভার নামে টাকা আদায় করা বেআইনী । তিনি এবিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান ।