ভেড়ামারা প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় দাঁত তুলতে গিয়ে যৌন হয়রানীর শিকার হলো ৯ বছরের একটি শিশু মেয়ে। এসময় শিশুটির মুখে পুরুষাঙ্গ ঢুকিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করে ওই শিশু মেয়েটি।
এবিষয়টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে ডেন্টিস্ট নিহান আহমেদকে(২৫) আটক করেছে ভেড়ামারা থানা পুলিশ। সে পৌরসভার গোডাউন মোড়ে অবস্থিত রাজশাহী ডেন্টাল কেয়ারের স্বত্বাধিকারী এবং উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের গোলাপনগরের বাসিন্দা মোস্তাক আহমেদের ছেলে।
গত ২৯ মে রাত ৮ টায় শিশুটি বাবার সাথে দাঁত উঠাতে গেলে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ তুলেছে শিশুটির পরিবার। শুক্রবার (৩০শে মে) এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানায় বাদী হয়ে শিশুটির মা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (২০০৩) আইনে একটি মামলা দায়ের করে।
ভুক্তভোগী শিশু ও তার মা-বাবা জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটির বাবা তাকে দাঁত তুলতে ডেন্টিস্ট নিহালের চেম্বারে নিয়ে যায়। দাঁত তোলা হয়ে গেলে নিহাল তার বাবাকে বাইরে যেতে বলে। এমন সময় সুযোগ বুঝে শিশুটির মুখে সে তার গোপনাঙ্গ প্রবেশ করায় এবং জোরপূর্বক যৌন-নিপীড়নের চেষ্টা করে। পরে শিশুটিকে চাকু দিয়ে ভয় দেখায়, যাতে সে কাউকে এই ঘটনা না বলে। পরবর্তীতে শিশুটি ডাক্তারের সমস্ত অপকর্ম তার মা-বাবাকে বলে। তারা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে তাকে আটক করে। এ বিষয়ে শুক্রবার ভেড়ামারা থানায় শিশুটির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করে।শুক্রবার দুপুরের পর তাকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ভেড়ামারা ডেন্টাল প্র্যাকটিশনার সমিতির সভাপতি ডেন্টিস্ট শহিদুল ইসলাম বলেন, নিহান কুষ্টিয়া কারিগরি বোর্ডের অধীনে একটি কোর্স করেছে। বিগত এক বছর আগে সে রাজশাহী ডেন্টাল কেয়ার প্রতিষ্ঠানটি দিয়েছে। গত ২৯মে তার বিরুদ্ধে ৯ বছরের একটি বাচ্চা মেয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছে। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারও করেছে। এই বিষয়টা নিয়ে আমরা সমিতিতে আলোচনা করব।
ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মিজানুর রহমান বলেন, ডেন্টিস্ট নিহানের বিরুদ্ধে আনীত যৌনাচারের অভিযোগ শুনেছি।লিখিত অভিযোগ পেলে সিভিল সার্জনের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শুধু তাই নয়, ভেড়ামারাতে মোট ১৬ টি ডেন্টাল কেয়ার আছে। তাদের বিষয়টিও আমরা খতিয়ে দেখব।