logo

সময়: ১১:৪০, শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫ ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১১:৪০ পূর্বাহ্ন

এ্যাড. তৌহিদুল ইসলাম আলম জাতীয়তাবাদী চেতনার এক মূর্তমান প্রতীক

Shadin Bangla
প্রতিবেদন প্রকাশ: ২৬ মে, ২০২৫ | সময়ঃ ১১:৪২
photo
এ্যাড. তৌহিদুল ইসলাম আলম

শামসুল আলম স্বপন, ইসমাইল হোসেন বাবু, ভেড়ামারা,কুষ্টিয়া থেকে :

 

এ্যাড. তৌহিদুল ইসলাম আলম জাতীয়তাবাদী চেতনার এক মূর্তমান প্রতীক। শত অত্যাচার, নির্যাতন সহ্য করে ১৯৭৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত বিএনপি হাল ধরে আছেন তিনি স্বৈরাচার এরশাদ আর খুনি হাসিনার শাসনামলে শতাধিক মিথ্যা ষড়যন্ত্র মুলক মামলার আসামী হয়ে বিভিন্ন মেয়াদে দীর্ঘ বছর জেল খেটেছেন তিনি।

 

সে সময় বিএনপি ছাড়ার জন্য তাকে দেওয়া হয়েছে নানা প্রলোভন চাপ। কিন্তু তিনি ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত এক অকুতোভয় সৈনিক। লোভ -লালসা দিয়েও কেউ তাকে বিচ্যুত করতে পারেনি বিএনপি থেকে তিনি বিএনপি জন্য অবিচল অটল জনপ্রিয়তায় তিনি ভেড়ামারাবাসীর কাছে এক অবিসংবাদিত নেতা। নিজ যোগ্যতায় তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন ভেড়ামারা পৌর সভার মেয়র ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। আজও ভেড়ামারাবাসী তার যোগ্যতাকে সম্মান করেন

যে ভাবে রাজনীতিতে তাঁর পদার্পন :

এ্যাড. তৌহিদুল ইসলাম আলম ১৯৭৯ সালে এসএসসি পাশ করে ভেড়ামারা কলেজে ভর্তি হন। বিএনপি নেতা সাবেক এমপি বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম তার আপন বড় ভাই এ্যাড. তৌহিদুল ইসলাম আলম বলেন আমার বড় ভাই, আমার নেতা। তিনি আমার আদর্শ। বড় ভাই এর প্রেরণাতেই আমি ১৯৭৯ সালে বিএনপি অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে যোগদান করি।

১৯৮০ সালে সম্মেলনে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ওই বছরেই ভেড়ামারা ডিগ্রী কলেজে ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পায়

তিনি ১৯৮১ সালে ভেড়ামারা কলেজ ছাত্রসংসদ নির্বাচনে সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৮৩ সালে ভেড়ামারা উপজেলা ছাত্র দলের সভাপতি নির্বাচিত হন। একই বছরে জাসদের সাথে রাজনৈতিক সংঘর্ষে তিনি মামলার আসামী হয়ে কারা বরন করেন।

১৯৮৭ সালে টাঙ্গাইলের ছাত্রনেতা জগলু হত্যা বাসভাংগা' প্রতিবাদে হরতাল আহবান করলে তিনি গ্রেফতার হন এবং ডিটেনশন দিয়ে তাকে বছর কারাগারে রাখা হয়।

স্বৈরাচার এরশাদের শাসনামলে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে এ্যাড. তৌহিদুল ইসলাম আলমের বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্র মুলক ৬০ /৭০টি মামলা দেয়া হয়। ১৯৮৯ সালে জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক হন জেল থেকে বেরনের পর ১৯৯৩ সালে তিনি ভেড়ামারা যুবদলের সভাপতি জেলা যুবদলের সাংগঠনিকম সম্পাদক নির্বাচিত হন।

 

১৯৯৭ সালে তিনি ভেড়ামারা উপজেলার বিএনপি সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং ২০০৯ সাল থেকে তিনি জেলা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮-২০১৯ সালে তিনি জেলা বিএনপির ১নং যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এ্যাড. তৌহিদুল ইসলাম আলমের চরম জনপ্রিয়তার কারণে ২০০৪ সালে ভেড়ামারা পৌরসভার মেয়র নির্বচিত হন এবং প্রায় সাড়ে বছর সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন।

আওয়ামী শাসনামলে ২০১৪ সালে তিনি বিপুল ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সময় ফ্যাসিষ্ট সরকার ষড়যন্ত্র মুলক নাশকতার মামলায় তাকে গেফতার করে।

তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েই ক্ষ্যান্ত হয়নি তাকে বিএনপি ছেড়ে আওয়ামীলীগে যোগ দেয়ার জন্য চরম প্রেসার দেয়া হয়। নির্যাতন নিপীড়নের পাশাপাশি এ্যাড. তৌহিদুল ইসলাম আলমকে দেয়া হয় অনেক লোভ লালসা। তিনি দলকে এতটা ভালোবাসেন যে ফ্যাসিষ্ট সরকারের দেয়া কোন লোভ লালসায় পড়ে তিনি দল ত্যাগ করেনি।

তার খেসারত তাকে দিতে হয় উপজেলা চেয়ারম্যান পদ স্থগিত করা হয় দলের সিদ্ধান্তে সে অটল অবিচল। ২০১৮ সালে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে দল নির্বাচনে বয়কট বা বর্জন করে তখন তিনি ২০১৮ সাল থেকে আর কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন নি ।

ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে সকল আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি । মাঠ পর্যায়ে নেতা কর্মী সমর্থক এবং সাধারণ মানুষ তাকে কর্মী বান্ধব জনগণের নেতা হিসাবে মনে করে এবং তিনি খুব ভালো সংগঠক হিসেবে বিবেচনা করেন ।

বর্তমানে তিনি কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক। ছাড়া বিভিন্ন সময় স্কুল কলেজ মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সাথে তিনি জড়িত রয়েছেন।

ভেড়ামারা বিএনপি’র নেতা কর্মীরা এ্যাড. তৌহিদুল ইসলাম আলমকে  ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে পেতে চান।

 

  • নিউজ ভিউ 1197