logo

সময়: ০২:৪৪, রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫ ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ০২:৪৪ পূর্বাহ্ন

হত্যা মামলায় রিমান্ড শেষে কারাগারে মমতাজ

Shadin Bangla
প্রতিবেদন প্রকাশ: ১৭ মে, ২০২৫ | সময়ঃ ০৭:৫৮
photo
মমতাজ

স্বাধীণবাংলা নিউজ :

জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানার সাগর হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মমতাজ বেগমকে রিমান্ড শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ শনিবার ঢাকার মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট মিনহাজুর রহমান কারাগারে পাঠানোর এই আদেশ দিয়েছেন।

এর আগে গত ১৩ মে রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে মমতাজ বেগমকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। আদালত পরের দিন তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম রিমান্ড শেষে আজ তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। শুনানিকালে এজলাসে তোলা হয় মমতাজকে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মাসুদুর রহমান লিংকন জামিন চেয়ে আবেদন করে বলেন, ‘মামলার ঘটনার সাথে তিনি কোনোভাবে জড়িত নন। তিনি এজাহারভূক্ত আসামি। কিন্তু তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নাই। শারীরিকভাবে অসুস্থ। তার জামিনের প্রার্থনা করছি।’

রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, ‘দেশের ইতিহাসে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, মন্ত্রী, এমপি, সাবেক মন্ত্রী, এমপি, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব, প্রধান বিচারপতি, ঢাকা মহানগর পিপি, বাকিগুলো আর নাই বললাম, একযোগে পালিয়ে যাওয়া পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। মমতাজ বেগম গ্রেপ্তারের পর কিছু মানুষের চিত্র দেখেছি। এলাকায় তারা মিষ্টি বিতরণ করেছে। তার দ্বারা মানুষ কিভাবে নির্যাতিত হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাধারণ রাস্তা থেকে পার্লামেন্টে গিয়ে পৌঁছেছে। পার্লামেন্টের মতো পবিত্র জায়গায় গানের জলসা বসাত। বিরোধীদের বিরুদ্ধে অসম্মানজন বক্তব্য দিত। সংসদকে কলুষিত, কলঙ্কিত করেছে। সংসদে যাবে কারা? আইন প্রণেতা, শিক্ষিত, মার্জিত মানুষ। মেম্বার হওয়ার যোগ্যতা রাখে না তারা সংসদ সদস্য হয়েছে ভোগ চুরি করে, রাতের ভোটে।’

রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী বলেন, ‘সংসদে দাঁড়িয়ে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়ার বাপের নাম জানতে চান। বলেন তো আপনার বাপের নাম, স্বামীর নাম কী?’ এ সময় বিচারক তাকে মামলার বিষয়ে কথা বলতে বলেন।

ওমর ফারুক বলেন, ‘মানুষের চরিত্রহনন, বিরোধীদের হেয় করে কাজ করে গেছেন। কীভাবে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন চান বুঝি না। আইন সেভ করলেও জনগণ করছে না। তারা বাইরে বের হতে পারেন না। পুলিশ ধরার আগে মানুষ ধরে তাদের পুলিশে দিচ্ছে। তারা এতো জনবিরোধী কাজ করেছে। এখন জামিন পেলে দেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। মামলার তদন্তে ব্যাঘাত ঘটছে। জামিন নামঞ্জুরের প্রার্থনা করছি।’

শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত ১৯ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্ত্বর এলাকায় জুলাই আন্দোলনে অংশ নেন মো. সাগর। ওই দিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আসামিরা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণ করেন। এ সময় ভুক্তভোগী সাগরের বুকে গুলি লেগে পেছন থেকে বের হয়ে যায়। পরে তার মা মোসা. বিউটি আক্তার তাকে খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে ওইদিন দিবাগত রাত ৩টায় মিরপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার লাশের সন্ধান পাওয়া যান তিনি। পরে সন্তানের মরদেহ গ্রহণ করে গ্রামের বাড়িতে দাফন সম্পন্ন করেন।

এ ঘটনায় ২৭ নভেম্বর নিহতের মা মোসা. বিউটি আক্তার বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন। এতে শেখ হাসিনাসহ ২৪৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া মামলায় ২৫০-৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।মামলার ৪৯ নং এজাহারনামীয় আসামি মমতাজ বেগম।

  • নিউজ ভিউ 189