---

মা ও শিশু পুত্র আহন’র মৃত্যু ছিল চরম মর্মান্তিক

 

 

শামসুল আলম স্বপন ,কুষ্টিয়া :

সড়ক দুর্ঘটনায় গত ৪ মাসে কুষ্টিয়ায় নিহত হয়েছে ১৭ জন । আহতের সংখ্যা ৩৯ জন। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে ২১টি। এর মধ্যে মা ও শিশু পুত্র আহনের মৃত্যু ছিল চরম মর্মান্তিক যা দেখে মানুষ চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি।

কুষ্টিয়া পুলিশের বিশেষ শাখা ও চৌড়হাস হাইওয়ে পুলিশের তথ্য অনুযায়ী জানুয়ারী -২০২৫ মাসে  কুষ্টিয়া সদর,কুমারখালী,খোকসা ও মিরপুর থানায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয় ৪ জন । ফেব্রুয়ারী  মাসে কুষ্টিয়া সদর ও মিরপুর থানায় নিহত হয় ৩ জন । মার্চ মাসে ইবি ও মিরপুর থানায় নিহত হয় ৩ জন। এপ্রিল মাসে কুষ্টিয়া সদর,ইবি থানা, কুমারখালী,খোকসা, মিরপুর, ভেড়ামারা ও দৌলতপুর থানায় নিহত হয় ৭ জন । এর মধ্যে  ২জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন।  এ সব সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয় ৩৯ জন। বিভিন্ন থানায় সড়ক পরিবহনের ২১৮ এর ৯৫/৫ ধারায় মামলা হয়েছে ২১টি ।

তথ্য অনুযায়ী দেখা যায়, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল মোড়, ত্রিমোহনী, কুমারখালী থানার গড়াই নদীর উপর সৈয়দ মাসুদ রুমী সেতুর পশ্চিমপার্শএ এবং মিরপুর থানার বহলবাড়ী এলাকায় সব চেয়ে বেশী সড়ক দুর্ঘটনা সংঘঠিত হয়েছে। এর মধ্যে  সব চেয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে গত ২৮ ফেব্রুয়ারী  শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুষ্টিয়া-ভেড়ামারা মহাসড়কের ত্রিমোহনী বাইপাস মোড় এলাকায়। এ দিন ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী কুষ্টিয়া শহরের কোর্টপাড়া এলাকার কাদের সিদ্দিকীর স্ত্রী ইতি খাতুন (৩০) ও তার ৩ বছরের ছেলে আহন  দু’জনই ঘটনাস্থলে মারা যান।  গুরুতর আহত হন মোটর সাইকেল চালক কাদের সিদ্দিকী। তিনি বগুড়া থেকে মটর সাইকেলে করে কুষ্টিয়া আসার পথে ট্রাকের ধাক্কায় স্ত্রী ও পুত্রকে হারান। মা ও শিশু পুত্র আহনের  মৃত্যু ছিল চরম মর্মান্তিক যা দেখে মানুষ চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি ।
কুষ্টিয়াতে অধিক সড়ক দুর্ঘটনার কারণ জানতে চাইলে  হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আল-মামুন বলেন, চালকের অদক্ষতা, ট্রাফিক আইন না মানা, মাদক সেবন করে মটর সাইকেল ও যানবাহন  চালানো, এক মটর সাইকেলে তিন জন চড়ে চালানো, দ্রুত গতিতে  মটর সাইকেল ও যানবাহন  চালানোর কারণেই সড়ক দুর্ঘটনা বেশী ঘটে । তিনি বলেন সড়ক দুর্ঘটনার ব্যাপারে মামলা হলেও বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে আপোষ হয়ে যায় । ফলে সড়ক দুর্ঘটনার আদালত শাস্তি দিতে পারে না। শাস্তি না হওয়াটাও সড়ক দুর্ঘটনার একটি কারণ বলে মনে করেন তিনি ।

এ বিয়য়ে কুষ্টিয়া বিআরটি এর কর্মকর্তাকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি।  

সুত্র: দৈনিক আমাদের সময় : ৩/৫/২৫