logo

সময়: ১২:৫৯, বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫ ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন

শেখ হাসিনাই এখন আওয়ামীলীগের বড় শত্রু !

Shadin Bangla
প্রতিবেদন প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল, ২০২৫ | সময়ঃ ০৮:৩০
photo
শেখ হাসিনা

 


: শামসুল আলম স্বপন :


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যান সাবেক  প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনা । আশ্রয় নেন তার চিরমিত্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে । প্রধানমন্ত্রী থাকতে শেখ হাসিনা প্রায়শ বলতেন “ভারতকে যা দিয়েছে ভারত তা চিরদিন মনে রাখবে ”। ক্ষমতা হারা হয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়ার পর শেখ হাসিনা সপ্তাহ খানেক চুপ-চাপ ছিলেন। এর পর এক অডিও বার্তায় মিনিটে ৬০ বার আপা বলা এক কর্মীকে বলেন- আমি দেশের কাছাকাছি আছি তোমরা প্রস্তুত থাকো যে কোন মুহুর্তে আমি চট করে দেশে ডুকে পড়বো ।

 

আর যাই কই শুরু হয় ধরপাকড় আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীদের। এর পর কখনো অডিও বার্তায় আবার কখনো ভিডিও বার্তায় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে উস্কানিমুলক বার্তা দিয়ে বলছেন- যারা আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের হত্যা করছে-বাড়ি-ঘর লুটপাট করছে,আগুন দিয়ে বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিচ্ছে তাদের হত্যা করো,তাদের বাড়িঘরে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দাও । বিএনপি- জামায়াত- বৈষম্য বিরোধীছাত্র  ও যে সকল পুলিশ সদস্য আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের নির্যাতন করছে তাদের তালিকা তৈরী করে রাখো । কাওকে ছাড় দেয়া হবে না। আমি যা বলি তাই করি ।  আমি তো আছিই । আমি তো পদত্যাগ করিনি আমি এখনো সাংবিধিানিক প্রধানমন্ত্রী । আমি শিঘ্রই দেশে ফিরে আসবো ।  এমন বক্তব্য দিয়েই শেখ হাসিনা নেতা-কর্মীদের ঠেলে দিচ্ছে বিপদের মুখে ।  হাসিনার ঠোট সমস্যার কারণেই ধানমন্ডির ৩২ নম্বর ঐতিহাসিক বাড়িটি আজ ধ্বংস স্তুপে পরিনত হয়েছে।

 

শেখ হাসিনা আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের উজ্জিবিত করার জন্য যতবার উষ্কানিমুলক এমন বক্তব্য রেখেছেন ততবারই নির্যাতনের শিকার হয়েছে আওয়ামীলীগের নিরীহ নেতা-কর্মীরা।  স্বৈারাচারের আমলে যারা মানুষের উপর নির্যাতন চালিয়েছে,লুটপাট করেছে তারা অধিকাংশই ক্ষমতা হারানোর আগে ও পরে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। এখন যারা দেশে আছে তাদের অধিকাংশই নিরপরাধ আওয়ামী নেতা-কর্মী । শেখ হাসিনার উষ্কানিমুলক বক্তব্যে তারা হচ্ছে নির্যাতনের শিকার। হচ্ছে  গ্রেফতার । অর্থনৈতিক সমস্যায় তারা জর্জরিত। ৫ আগষ্টের পর ১০ হাজারেও বেশী নেতা-কর্মী হয়েছে গ্রেফতার বলে শোনা যাচ্ছে ।  নেতা-কর্মীরা এখন  অতিষ্ঠ ।  তারা শেখ হাসিনার ফাঁকা আওয়াজ   যেমন বিশ্বাস করছে না তেমন চাচ্ছে না এমন ফাঁকা আওয়াজ  দিক শেখ হাসিনা ।  তারা মনে করছে শেখ হাসিনাই এখন আওয়ামীলীগের    নেতা-কর্মীদের বড় শত্রু ।

 

এ প্রসঙ্গে ভানু বন্দপ্যাধায়ের একটি কৌতুক মনে পড়ে গেলো - ভানু উকিল, তার মক্কেল বললো ভানু দা আমার তো ফাঁসির আদেশ হয়ে গেছে আমি এখন কি  করবো । ভানু বললো- চিন্তা করিস না ফাঁসির দড়ি গলায় পরিয়ে ঝুলে পড় আমি তো আছিই ।

 

  • নিউজ ভিউ 1026