কুষ্টিয়া সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও সুনামধন্য ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম বিপ্লবের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে মাঠে নেমেছেন চাল সিন্ডিকেট প্রধান আব্দুর রশিদ।
৫ আগষ্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকে এই রশিদ অপপ্রচারে সক্রিয় হয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে, রশিদ কুষ্টিয়া সদর আসনের সাবেক এমপি মাহাবুব উল আলম হানিফের সাথে আঁতাত করে চাউল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চালের বাজার অস্থিতির করে সাধারণ মানুষের পকেট থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। বাংলাদেশের শীর্ষ চরমপন্থী সন্ত্রাসী বাংলা ভাই খ্যাত সিদ্দিকুল ইসলামের আশ্রয়-প্রশ্রয় দাতা ছিলেন এই রশিদ। ২০০৪ সালে বাংলা ভাইকে গ্রেপ্তার করতে প্রশাসন রশিদের রাইচ মিলে ব্যাপক অভিযান চালায়। তবে আগে থেকে অভিযানের সংবাদ পেয়ে পালিয়ে যায় বাংলা ভাই । আওয়ামীলীগ সরকার আমলে আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে ঋণ খেলাপির দায়ে দেশের বিভিন্ন থানা মামলা হলেও তিনি ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
গত বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের কোর্টপাড়া এলাকার গোসালা গলিতে অবস্থিত আব্দুর রশিদের নির্মানাধীন বাড়িতে দুজন দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলে এসে হেলমেট পরে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। তারা মুহূর্তেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে শাকিল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে ওই ঘটনায় হঠাৎ তিনি কুষ্টিয়া সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম বিল্পবের নামে অভিযোগ করেন।
এ ঘটনায় জাহিদুল ইসলাম বিল্পবের কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে ওই অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। এতে তার মান ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে জানানও তিনি। এসময় তিনি বলেন, আওয়ামী দোসর আব্দুর রশিদ ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আমাকে এবং আমার দলের নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন করেছেন। হানিফ ও আতাকে দিয়ে মিথ্যা ও হয়রানামূলক মামলা দিয়ে কারাগারে দিয়েছেন।এখন সরকার পতনের পর তিনি আবারও আমার রাজনৈতিক মান ক্ষুণ্ণ করতে উঠে পড়ে লেগেছেন। তিনি আরও বলেন, গত ০৯ এপ্রিল দুপুরে কুষ্টিয়ায় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের দোসর চেক জালিয়াতি ও প্রতারণা মামলার আসামি বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি চাল ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদের কুষ্টিয়া শহরের গোশালা রোডের বাড়িতে কে বা কারা গুলিবর্ষণ করেন। এঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করে আওয়মীলীগের ওই দোসর সাংবাদিকদের কাছে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা ভিত্তিহীন তথ্য উপস্থাপন করেন। ওই দিন তিনি সাংবাদিকদের কাছে বক্তব্য দেন,আইলচারা পশু হাটের টেন্ডারকে কেন্দ্র করে তার বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। অথচ আমি কিংবা মুন্না কেউ ওই হাটের দরপত্র ক্রয়ই করি নাই। যেখানে আমরা দরপত্রে অংশ নেইনি, সেখানে আমাদের প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছু নয়, বলে আমি মনে করি। বাড়িতে গুলির ঘটনায় আব্দুর রশিদ তাৎক্ষনিক সাংবাদিকদের বলেন, আইলচারা পশুহাটের ইজারা পাওয়াকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম (বিপ্লব) ও ব্যবসায়ী মুন্না চরমপন্থী সংগঠনের নেতাদের দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। সেই বক্তব্যকে কোট করে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা, টেলিভিশন, অনলাইন মিডিয়া ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। আব্দুর রশিদ প্রকাশিত ও প্রচারিত সংবাদে সাংবাদিকদের আরও বলেন, তিনি ও তাঁর পরিবার দীর্ঘদিন ধরে চাল ব্যবসার পাশাপাশি হাটবাজার ইজারা নেওয়ার ঠিকাদারি করেন। কয়েক দিন আগে সদর উপজেলার আইলচারা পশুহাটের ইজারা পেয়েছেন তাঁর ভাতিজা জিহাদুজ্জামান। ওই হাটের দরপত্র কেনার পর থেকে চরমপন্থী সংগঠনের নেতা পরিচয় দিয়ে দরপত্র জমা না দিতে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। কয়েক দিন আগে প্রায় ১ কোটি ৬২ লাখ টাকায় হাটের ইজারা পান তার ভাতিজা জিহাদুজ্জামান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই চরমপন্থী নেতা পরিচয় দিয়ে হুমকি দিয়ে বলেন, আইলচারা হাটের ইজারা প্রত্যাহার করে নিতে হবে। না হলে মেরে ফেলার হুমকি দেন ওই চরমপন্থী। আইলচারা পশুহাটের টেন্ডারে অংশ না নিতে চরমপন্থীরা আমাকেও হুমকি দিয়েছিল। এ জন্য আমি টেন্ডারে অংশ নেয়নি, তাহলে এখন কেন আমার নাম আসছে?’ ‘এলাকায় রশিদদের সঙ্গে আমার রাজনৈতিক বিরোধ রয়েছে। এ জন্য আমাকে রাজনীতিকভাবে হেয় করতে একটি ভিন্ন ইস্যুকে আমার ঘাড়ে চাপিয়ে তিনি রাজনৈতিক ফয়দা লুটতে চেষ্টা করছে।আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।