logo

সময়: ০১:০৩, বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫ ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ০১:০৩ পূর্বাহ্ন

চেয়ারম্যান বাবলুকে জঘন্য ট্র্যাপে ফেলে দলে নেয় ফ্যাসিষ্ট আতা !

Shadin Bangla
প্রতিবেদন প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল, ২০২৫ | সময়ঃ ০৬:৩৮
photo
চেয়ারম্যান বাবলু

 

: শামসুল আলম স্বপন :

আওয়ামীলীগে যোগ না দিলে ছোট ভাই মাজেদকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হবে এমন জঘন্য ট্র্যাপে ফেলে বিএনপি’র নিবেদিত প্রাণ কর্মী জগতি ইউনিয়নের সাবেক জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বাবলুকে দলে ভিড়াতে বাধ্য করে ফ্যাসিষ্ট হানিফের দোসর ক্খ্যুাত ফ্যাসিষ্ট আতা ।


খোঁজ নিয়ে জানা যায় আব্দুল মজিদ বাবলু দেশের জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ১৯৮১ সালে বিএনপিতে যোগ দেন। সাংগঠনিক দক্ষতা ও যোগ্যতার কারণে তিনি জগতি ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতির দায়িত্ব পান। তিনি এক সময় কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি’র সদস্য ও সদর থানা বিএনপি’র কোষাধ্যক্ষ ছিলেন । সে সময় বিএনপি’র রাজনীতিতে তার অবস্থান ছিল তুঙ্গে। বিএনপি’র যে কোন কর্মসূচিতে ডাক পড়তো বাবলুকে। জনপ্রিয়তার কারণে ২০১১ সালে তিনি বিপুল ভোটে জগতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। চেয়ারম্যান থাকা কালীন তিনি পৈত্রিক জমিতে কবুরহাট হাইস্কুল প্রতিষ্ঠা করেন এবং  বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করেন। মসজিদ,মাদ্রাসা ও রাস্তা-হাট বাজারের উন্নয়নে তিনি ব্যাপক ভুমিকা রাখেন।


ফ্যাসিষ্ট হাসিনা ক্ষমতা গ্রহনের পর দোসর হানিফ ভোট কেটে এমপি নির্বাচিত হলেও জগতি ইউনিয়নে ভালো ভোট করতে পারেনি। এর কারণ ছিল চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বাবলু ও তার ছোট ভাই জেলা যুবদলের যুগ্ম-সম্পাদক ও সদর থানা যুবদলের  সাধারন সম্পাদক প্রতিবাদী যুবক  আব্দুল মাজেদের বলিষ্ট ভুমিকা । ভোটই শুধু নয় জগতি ইউনিয়নে বর্তমানে বটতৈল ইউনিয়নে  আওয়ামীলীগের সংগঠনও জোরদার করতে পারেনি ফ্যাসিষ্ট  হানিফ ও আতা । ফ্যাসিষ্টরা বুঝতে পারে বাবলু ও মাজেদকে দলে ভেড়াতে না পারলে ঐ এলাকাতে তাদের রাজনীতি মাঠে মারা যাবে । শুরু হয় ষড়যন্ত্র । আওয়ামীলীগে যোগ দেয়ার জন্য চাপ দেয়া হয় দুই ভাইকে।  আব্দুল মাজেদ ফ্যাসিষ্টদের প্রস্তাব  সরাসরি নাকোচ করে দেন।


এরপর মাজেদের উপর চালানো হয় অত্যাচারের ষ্ট্রীম রোলার। ২০১২ সালে ইবি থানার পুলিশকে দিয়ে,২০১৬ সালে ডিবিকে দিয়ে, ২০১৭ সালে সদর থানার পুলিশকে দিয়ে গ্রেফতার করা হয় মাজেদকে। চালানো হয় অকথ্য নির্য়াতন । তার বিরুদ্ধে দেয়া হয় ৩৮টি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমুলক মামলা । এ সব মামলায় মাজেদকে ৭ বার গ্রেফতার করে ৫১৭ দিন জেল খাটতে বাধ্য করা হয়। এখনো ১৭টি মামলা নিষ্পত্তির অপেক্ষায় ।


ফ্যাসিষ্ট হানিফ ও আতার চক্রান্তে সব চেয়ে জঘন্য ঘটনা ঘটে ২০১৬ সালে। ডিবিকে দিয়ে আব্দুল মাজেদকে রাতের অন্ধকারে গ্রেফতার করিয়ে ৪দিন ৪রাত  নিখোঁজ রাখা হয়। থানা-পুলিশ-ডিবি-র‌্যাব কেও মাজেদের গ্রেফতারের কথা স্বীকার  না করায় পরিবারে কান্নার রোল পড়ে যায়। মাজেদের খোঁজ পেতে আত্মীয়-স্বজন ফ্যাসিষ্ট আতার স্মরণাপন্ন হলে  আতা স্পষ্ট জানিয়ে দেয় বাবলু চেয়ারম্যান দু’ এক দিনের মধ্যে আওয়ামীলীগে যোগ না দিলে মাজেদের লাশ গড়াই নদীতে পাওয়া যাবে।   
বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত চিন্তিত হয়ে পড়েন চেয়ারম্যান বাবলু । 

এদিকে রাজনীতি অন্য দিকে ভাই এর জীবন। কি করবেন তিনি। বাবলু পরামর্শ করেন বিএনপি’র নেতৃবৃন্দের  ও পরিবারের সদস্যদের সাথে । অবস্থা বেগতিক দেখে বিএনপি’র নেতারা ছোট ভাই মাজেরদের জীবন বাঁচাতে বাবলুকে আওয়ামীলীগে যোগ দেয়ার গোপন পরামর্শ দেন। বাবলু বাধ্য হয়েই যোগ দেন ফ্যাসিষ্টদের দলে । কিন্তু তিনি দলের কোন পদ গ্রহন করেননি। বাবলু আজও বটতৈল ও জগতি ইউনিয়নে বিএনপির নেতা-কর্মীদের প্রিয়মানুষ। তিনি বলেন ছোট ভাই মাজেদ রাজনীতিতে সক্রিয় তাকে দোয়া সহযোগিতা করে যাবো । আমি শহীদ জিয়ার রাজনীতিকে সমর্থন করেই জীবন কাটাতে চাই । নেতা হতে চাই না।


প্রতিবেদকের মন্তব্য :


আজ যারা চেয়ারম্যান বাবলুকে ফ্যাসিষ্টদের দোসর বলে আখ্যায়িত করেন তারা ভাবুন তো এমন পরিস্থিতি উদ্ভব হলে আপনি বা আমি কি করতাম? বুঝতে হবে চেয়ারম্যান বাবলু  কিন্তু ব্যক্তি স্বার্থ-এ  আওয়ামীলীগে যোগ দেন নি। আমি চন্টু ভাই ও অধ্যক্ষ সোহরাব ভাই এর নির্বাচনের সময় দেখেছি চেয়ারম্যান বাবলু ও মাজেদ নিজের পকেটের পয়সা খরচ করে তাদের ইউনিয়নে বিএনপিকে জিতিয়েছে ।  আজও বাবলু-মাজেদের ডাকে হাজার হাজার মানুষ মিছিল করে সমবেত হয়। বিএনপি’র রাজনীতিতে তাদের অবদান ভুলে গেলে মানুষ অকৃতঞ্গ  বলবে এটায় স্বাভাবিক।

 

প্রতিবেদক :

শামসুল আলম স্বপন
সাবেক জেলা গ্রাম সরকার প্রধান
বৃহত্তর কুষ্টিয়া।
মোবা; ০১৭১৬৯৫৪৯১৯

 

  • নিউজ ভিউ 990