শামসুল আলম স্বপন, কুষ্টিয়া : ৫/০২/২৫ :
আওয়ামীলীগকে পুনর্বাসন করতেই কুষ্টিয়া শহরের পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে অবৈধ ভাবে বাণিজ্য মেলা বসিয়ে কুষ্টিয়ার ব্যবসায়ীদেরকে ক্ষতিগ্রস্থ করার পায়তারা করছে ফ্যাসিষ্ট হানিফ-আতা-কামরুলের দোসররা। কুষ্টিয়ার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতি রুখে দিলেও পুনরায় ওই চক্রটি বাণিজ্য মেলা করার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সাবেক সংসদ সদস্য আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ, তার ভাই উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা ও সাবেক এমপি কামারুল আরেফিনের মদদপুষ্ঠ দোসর সাংবাদিকরা সুকৌশলে বিএনপির এক পদবঞ্চিত নেতার ঘাড়েভর করে সাংবাদিকদের নামে মেলার আয়োজন করে।
উক্ত মেলা কুষ্টিয়ার ব্যবসায়ীদের স্বার্থ পরিপন্থি হওয়ায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জেলা প্রশাসকের নিকট গণ পিটিশন দিলে জেলা প্রশাসন থেকে উক্ত মেলা বন্ধ ঘোষনা করেন।
জানাগেছে আওয়ামী চক্রটি মেলা নিয়ে থেমে নেয় তারা যে কোন ভাবেই হোক মেলা করবেই। এই আওয়ামী চক্র বিএনপি থেকে বিছিন্ন একটি গোষ্ঠির সাথে আঁতাত করে আগামী ১৫ রমযান থেকে মেলা পুনরায় চালু করবে বলে ঘোষনা করেছে। প্রশাসন মেলা বন্ধ ঘোষনা করলেও মেলার মাঠ ভাঙ্গার অনুমতি না দেয়ায় মাঠে দোকান পাঠ এখনো বহাল রয়েছে।
কুষ্টিয়া এন এস রোড ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে অবৈধ ভাবে মেলা করা হলে আমাদের কুষ্টিয়ার ব্যবসায়ীরা লোকসানে পড়বে। কারন এই মেলায় ঢাকা থেকে ব্যবসায়ীদের নিয়ে এসে নিম্নমানের কসমেটিক্স ও নানা ধরনের পোষাকের দোকান দেয়া হয়েছে। যা কুষ্টিয়ার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য আর্থিক ক্ষতিকর। তিনি বলেন, আমরা এ মেলা বন্ধ করতে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছি। তিনি মেলা বন্ধে ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
ঈদকে সামনে করে কুষ্টিয়ার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের লোকসান কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি মেনে নিতে পারেনি। কারন প্রতি বছরই রমযান মাস আসলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা কিছুকিছু লাভ করে থাকেন। যে লাভ দিয়ে তারা সারা বছর চলে । আওয়ামী চক্ররা কখনোই ব্যবসায়ীদেরকে ভালো চোখে দেখেনি এখনও দেখবেনা। তাই এই মেলা বন্ধ করতে হবে।
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহবায়ক কুতুব উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, কুষ্টিয়াতে আওয়ামীলীগ দোসরা মেলা করবে তা মেনে নেয়া যায় না। আওয়ামী সাংবাদিক গোষ্ঠি প্রেসক্লাবের নামে হানিফ আতা কামরুলের দোসর ছিল তা কুষ্টিয়াবাসী জানে। পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে যদি জেলা প্রশাসন ওই আওয়ামী চক্রকে মেলা করার অনুমতি দেন তা হলে আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ করবো এবং তারা যাতে কুষ্টিয়াতে মেলা করতে না পারে সে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন সাংবাদিকরা কোন বাণিজ্যিক প্রথিষ্টঅনের সদস্য না । তারা কেন মেল করবে। এতে আইন-শৃংখলার অবনতি হৗয়ার আশংকা রয়েছে।
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি সদস্য সচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার বলেন, কুষ্টিয়াতে যতবড় শক্তিশালী আওয়ামী চক্র হয়ে থাকুক না কেন তাদেরকে প্রতিহত করা হবে। এই আওয়ামী চক্র কুষ্টিয়াকে অশান্ত করে তোলার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের স্বার্থ পরিপন্থি কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরীর মাঠে কোন ক্রমেই আওয়ামী চক্রকে মেলা করতে দেয়া হবে না। মেলা হবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ( নাসিব) অথবা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের পক্ষ থেকে। আর কারো নামে মেলা হতে পারে না । বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসককে জানান হবে। যাতে করে কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরী মাঠ সহ আশ পাশ কোন স্থানে মেলা না হয়।
স্থানীয় সাংবাদিকরা বলেন, সারা দেশে সাংবাদিকদের নামে কোন মেলার সংবাদ পায়নি। এক মাত্র কুষ্টিয়াতে আওয়ামীলীগের দোসররা মেলাবাজী করে যাচ্ছে। এদেরকে এখনই প্রতিহত না করা হলে আগামীতে কঠিন হয়ে উঠবে। এ ব্যাপারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমাজ, বিএনপি, জামায়াত ও জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ সকল ছাত্র সমাজের সংগঠকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ক