স্বাধীনবাংলা নিউজ, রাজশাহী : রাজশাহীর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পাওনাদারের টাকা আংশিক জমা দিয়ে মুচলিকার মাধ্যমে জামিন পেয়েছেন বহুল আলোচিত চাল রশিদ ।
আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে আদালতে ১ কোটি ৩৩ লাখ ৬৪ হাজার ৮৬৭ টাকা আত্মসাতের মামলা করেন রাজশাহীর ইনাম ফিড মিলের মালিক আতিকুর রহমান । সিআর মামলা নং ৬৪৩/২৩ । ধারা ৪০৬/৪২০ । ওই মামলায় আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে গত ২৫/৩/২০২৪ তারিখে ওয়ারেন্ট ও ১৮/৯/২০২৪ তারিখে পি-ডাবলু জারি করে আদালত।
এর পেক্ষিতে কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ গত ১৬ নভেম্বর শনিবার বিকেল ৫টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর এলাকার একটি গলি থেকে চাল রশিদ কে গ্রপ্তার করে ।
বাদী আতিকুর রহমান তার সেলফ ফোন থেকে জানান তার দায়েরকৃত মামলায় চাল রশিদকে আটক করলেও পুলিশ তার মামলায় রশিদকে গ্রেফতার না দেখিয়ে ঢাকা ও কুষ্টিয়ার ২টি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে চালান দেয়। গত ১৭ নভেম্বর ওই দুটি মামলায় আদালত রশিদকে জামিন দেন। । অপর দিকে রাজশাহী অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত আব্দুর রশিদকে জামিন না দিয়ে তাকে রাজশাহী কারাগারে প্রেরণ করার নির্দেশ দিয়ে আদেশ জারি করেন। বাদী উক্ত আদেশ নামা তাৎক্ষনিক কুষ্টিয়া কারাগারে পৌছে দেন । ফলে কুষ্টিয়া জেল কর্তৃপক্ষ রশিদকে না ছেড়ে রাজশাহী কারাগারে পাঠিয়ে দেন। আজ ২৭ নভেম্বর রাজশাহী আদালতে বাদী আতিকুর রহমানের সাথে আপোষ করে নগদ ৫০ লক্ষ টাকা জমা দেন এবং বাকী টাকা তিন কিস্তিতে জমা দেয়ার মুচলিকা দিয়ে রশিদ জামিন লাভ করেন। আতিকুর রহমান জানান অপর একজন বাদীর সাথেও ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে রশিদ মামলা আপোষ করেন। এর প্রেক্ষিতে ১০ দিন কারাবাসের পর আজ বুধবার চাল রশিদ রাজশাহী কারাগার থেকে মুক্তি পান।
আব্দুর রশিদ ওরফে চাল রশিদ দেশের অন্যতম শীর্ষ চাল ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির সভাপতি। তিনি দেশের চাল সিন্ডিকেটের মূলহোতা। তার ইশারায় দেশে চালের দাম উঠানামা করত। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে শতাধিক প্রতারণার মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। খাজা নগরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চাল ব্যবসায়ী জানান সদর আসনের সাবেক এমপি হানিফের ছত্র ছায়ায় তিনি চালের বাজার বৃদ্ধি করতেন । হানিফকে দিতেন মোটা অংকের কমিশন ।
আব্দুর রশিদ ওরফে চাল রশিদ দেশের অন্যতম শীর্ষ চাল ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির সভাপতি। তিনি দেশের চাল সিন্ডিকেটের মূলহোতা। তার ইশারায় দেশে চালের দাম উঠানামা করত। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।