প্রেস বিজ্ঞপ্তি : :বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন (বিএনএফ) দেশে পিছিয়ে পড়া ও দারিদ্র্যসীমার নীচে অবস্থান করা জনগণকে উন্নয়নের মূলস্রোতে নিয়ে আসা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য অনুদান প্রদান করে। ২৭ জুন ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দের হাতে ১৫.৫০ কোটি টাকা প্রণোদনা ঋণ এবং নিয়মিত ও বিশেষ অনুদান হিসেবে ৬৫.৫০ লক্ষ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়। নিয়মিত ও বিশেষ অনুদানে সেলাই প্রশিক্ষণ ও সেলাই মেশিন বিতরণ, আর্সেনিকমুক্ত সুপেয় পানি সরবরাহের জন্য নলকূপ স্থাপন, ভ্যান, গরু, ছাগল, ভেড়া ও বাইসাইকেল বিতরণ, ক্ষুদ্র ব্যবসায় সহায়তা, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার বিক্রি ও সেমি পাকা ল্যাট্রিন নির্মাণ করা হবে। বিতরণকৃত অনুদানে ৭৮৫ জন মহিলা এবং ৭১২ জন পুরুষ উপকৃত হবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ আবদুর রহমান খান, এফসিএমএ, সচিব, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়। সভাপতিত্ব করেন বিএনএফ এর চেয়ারম্যান জনাব মোঃ রেজাউল আহসান। এ দিন ১৩টি সহযোগী সংস্থার মাঝে ৩৫,৫০ লক্ষ টাকার নিয়মিত অনুদান, ১০টি সহযোগী সংস্থার মাঝে ৩০.০০ লক্ষ টাকার বিশেষ প্রকল্পের অনুদান এবং ১৮টি সহযোগী সংস্থার মাঝে ১৫.৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা ঋণ (রিভলভিং) প্রদান করা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইনসিওরেন্স একাডেমির পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) জনাব মোঃ জাহিদ হোসেন, বিএনএফ এর কর্মকর্তাবৃন্দ ও সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ।
সভায় উপস্থিত সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম সম্পর্কে তাঁদের অভিজ্ঞতা ও মতামত ব্যক্ত করেন। স্বাগত বক্তব্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জিল্লুর রহমান এনডিসি বলেন, স্বাধীনতার পর রাষ্ট্র অঙ্গীকার করেছিল ‘কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি সকল প্রকার মানুষকে নিপীড়িন ও শোষণ থেকে মুক্তি দেব’। বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন সে মেহনতি ও পিছিয়ে পড়া মানুষের মুক্তি তথা আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বিএনএফ এর অনুদান প্রক্রিয়া আরো বেগবান করার মাধ্যমে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নীত হবে।
সভার সভাপতি জনাব মোঃ রেজাউল আহসান বলেন, বিএনএফ এর অনেক কাজ করার সুযোগ আছে। এগারোশত সহযোগী সংস্থাকে কাজে লাগাতে হলে আরো বেশি অর্থের প্রয়োজন। অর্থের সংকুলান হলে হতদরিদ্ররা অতি অল্প সময়ের মধ্যে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ পাবে। যারা অনুদান পান তারা যেন সঞ্চয় করতে পারেন বা সঞ্চয়ী মনোভাব সৃষ্টি করা যায় সেজন্য তাঁদের মোটিভেশন করতে হবে এবং এ অনুদানের অর্থ ব্যবহার করে কীভাবে উন্নয়ন করতে পারেন সে বিষয়ে সহযোগী সংস্থাকে পরামর্শ দেওয়া অনুরোধ করেন।
প্রধান অতিথি জনাব মোঃ আবদুর রহমান খান, এফসিএমএ বলেন, বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন যে মহৎ উদ্দেশ্যে গঠিত হয়েছিল বিএনএফ সে পথেই আছে। বিএনএফ এর সহযোগী