: শামসুল আলম স্বপন :
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আইলচারা ইউনিয়ন থেকে বিএনপিকে নিচিহ্ন করার গোপন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল আব্দুর রশীদ । মোটা অংকের টাকা দিয়ে হাত মিলিয়েছিল স্বৈরাচারের দোসর, বিএনপি’র চিরশত্রু ফ্যাসিষ্ট হানিফের সাথে । বিএনপি’র নিবেদিত প্রাণ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে মামলা দিয়ে নাস্তানবুদ করিয়েছিল রশীদ এ্যাগ্রোর মালিক আব্দুর রশীদ।
তার বিরুদ্ধে বাংলা ভাই ও শায়েখ আব্দুর রহমানের মত জঙ্গিদের জায়গা দেয়ার অভিযোগে বিএনপি’র শাসনামলে তার মিলের চাতালে সেনা-র্যাব -বিডিয়ার-পুলিশ-আনসার সমন্বয়ে যৌথবাহিনীর লোমহষর্ক অভিযানের কথা আজও মানুষ ভোলেনি। এই রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই । হানিফের সাথে নিয়ে চাল সিন্ডিকেট করে চালের দাম বাড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলেছিল। তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী তার মিলে অভিযান চালালে ফ্যাসিষ্ট হানিফ রশীদকে গ্রেপতার হওয়া থেকে রক্ষা করে। ফ্যাসিষ্ট হানিফ তার বিনিমিয়ে ৫০ কোটি টাকা ঘুষ নিয়ে ছিল এমন কথা কুষ্টিয়াতে চাউর হয়।
২০১৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর দৈনিক প্রথম আলো “ রশীদের ঢাল হানিফ “ শিরোনামে একটি বস্তুণিষ্ট সংবাদ প্রকাশ করলে দেশ ব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
এ দিকে স্থানীয় এক মিল মালিকের জমি ও মিল দখল করে অল্প টাকায় কিনে চরমপন্থীদের ব্যবহার করে দখল নেয়ার অভিযোগে হাইকোটে মামলা হয়েছিল রশীদের বিরুদ্ধে । তৎকলীন এসপি তার পক্ষ নেয়ায় হাইকোট তাকে তলব করে।
এ ছাড়া বিভিন্ন জায়গা থেকে বাকীতে ধান কিনে টাকা না দিয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে প্রতারণা করার অভিযোগ রয়েছে আব্দুর রশীদের বিরুদ্ধে ।
আতিকুর রহমান নামে এক ব্যক্তি রাজশাহী অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল আদালতে ১ কোটি ৩৩ লাখ ৬৪ হাজার ৮৬৮ টাকা আত্মসাতের মামলা করেন । এই মামলায় আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে গত ২৫/৩/২০২৪ তারিখে ওয়ারেন্ট ও ১৮/৯/২০২৪ তারিখে পি-ডাবলু জারি করে আদালত।
সেই মামলায় রশীদ গ্রেফতার হন। কুষ্টিয়া আদালত তাকে জামিন না দিয়ে রাজশাহী জেল খানায় পাঠিয়ে দেন। ১০দিন জেল খাটার পর রশীদ টাকা পরিশোধ করে জামিন লাভ করে।
বিএনপির শত্রু সেই রশীদ বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য এখন কাছা মেরে উঠে পড়ে লেগেছে। বিএনপি’র ত্যাগী,পরীক্ষিত নিবেদিত প্রাণ কর্মী ও নেতা আলহাজ্ব মো: জাহিদুল ইসলাম বিপ্লবকে বিপদে ফেলতে পারলে আইলচারা বিএনপি শুন্য করা যাবে এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে রশীদ । তার বাড়িতে কে বা কারা গুলি চালালে রশীদ জনপ্রিয় নেতা বিপ্লবকে ফাঁসানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। এ কথা বলছে বিএনপি’র নেতা-কমীর্রা ।
বিপ্লব কিন্তু ৫ আগস্টের পরের নেতা না। নেতাকর্মীরা তাকে নিয়ে কোন নোংরামি মেনে নেবে না। বিগত স্বৈরশাসকের আমল থেকেই তিনি কুষ্টিয়া জেলা যুবদল ও সদর উপজেলা যুবদলের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এখন তিনি সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব। এমন একটা ত্যাগী পরীক্ষিত নেতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কোনোভাবেই মেনে নেবে না বিএনপি। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আইলচারা ইউনিয়নকে বিএনপি শূন্য করতে মরিয়া হয়ে ওঠা সেই গোষ্ঠী এখন বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।ষড়যন্ত্রকারীদের সর্তক করে নেতা-কর্মীরা ষড়যন্ত্রকারীদের বলছে সময় থাকতে সাবধান হয়ে যান। ( বিস্তারিত আসছে )