ভেড়ামারা ড্রেজার বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈকত বিশ্বাস এর দূর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

নিউজ ডেস্ক | shadinbangla.news
আপডেট : ০৪ মার্চ, ২০২৫
Shadin Bangla
সংবাদ সম্মেলন



ইসমাইল হােসেন বাবু,ভেড়ামারা(কুষ্টিয়া)প্রতিনিধি :


কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় আজ দুপুরে ড্রেজার বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈকত বিশ্বাস এর দূর্নীতি, চলমান ড্রেজার থেকে তেল চুরি/বিক্রয়, ঠিকাদারী কাজে অনিয়মের মাধ্যমে লক্ষ-লক্ষ টাকা আত্মোসাৎ ও তার গুন্ডা বাহিনী দ্বারা ড্রেজারের কর্মচারীদের নানা ভয়ভীতি, নির্যাতন, অপহরন এর প্রতিবাদ ও নির্বাহী প্রকৌশলীর অপসারণ এর দাবিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল, ভেড়ামারা উপজেলা শাখা ও ভেড়ামারা ড্রেজার বিভাগের কর্মচারীবৃন্দগণ মিলে সংবাদ সম্মেলন করেন।

অনুিষ্ঠত সংবাদ সম্মেলন ভুক্তভোগী ছালামত হোসেন বলেন, আমি মোহাঃ ছালামত হোসেন কুষ্টিয়ায় অবস্থিত পদ্মা ড্রেজারের ভারপ্রাপ্ত মাস্টার। আমি গত ২৫ ফেব্রুয়ারী ড্রেজার মাস্টার ছালামত হোসেন ভেড়ামারা ড্রেজার অপারেশন বিভাগে যোগ দেওয়ার পর ড্রেজার বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈকত বিশ্বাস ও কয়েকজন কর্মচারী আমাকে নানা ভাবে হয়রানি করে আসছিলেন।
গত শনিবার আমি কুষ্টিয়া থেকে ভেড়ামারায় নিজ বাড়িতে আসার জন্য মজমপুর বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষা করছিলাম। এমন সময় সিএসডি গড়াই ড্রেজারের কর্মচারী কাফি সহ ৮ থেকে ১০ জন লোক আমাকে অপহরণ করে মোটর সাইকেল যোগে জোরপূর্বকভাবে আলফার মোড় আতর আলী ট্রেডারস এর দোকানে নিয়ে আটক করে। এরপর আমাকে মারধর করে নগদ ৩০ হাজার টাকা, জনতা ব্যাংকের তিনটি ব্লাস্ক চেক, জোরপূর্বক চেকের পাতায় ও ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়।

এরপর বিভিন্ন নাম্বর থেকে আমার কাছে ৩ লক্ষ টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে তারা আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করেন। এমনকি এই ঘটনার কথা কাউকে বললে আমাকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। পরের দিন আমি একজনকে সাথে নিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী সৈকত বিশ্বাস এর নিকট এই কথাগুলো বলার জন্য কুষ্টিয়ায় তার দপ্তরে যায়। কিন্তু তিনি আমার কোন কথা না শুনেই আমাদেরকে অফিস থেকে বের করে দেয়। এবং সে আমাদের উপরে রাগারাগি করতে থাকেন। ঐদিন বাধ্য হয়ে আমি কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ মামলা দায়ের করি। পরবর্তীতে প্রাণ নাশের হুমকির কারণে পুণরায় ভেড়ামার থানায় একটি জিডি এন্ট্রি করি।

এই সকল ঘটনার সাথে নির্বাহী প্রকৌশলী সৈকত বিশ্বাস, ড্রেজার কর্মচারী আব্দুল কাফি সহ ড্রেজার সাব ঠিকাদার সজীব ও আরও অজ্ঞাতনামা ৮ থেকে ১০ জন জড়িত আছে বলে আমি মনে করি।

এই অবস্থায় গণমাধ্যের মাধ্যমে আমার উর্ধ্বোতন কর্তৃপক্ষের নিকট ও আইনের কাছে উল্লেখিত ব্যক্তিগণের সুষ্ঠ বিচার ও আমার ও আমার পরিবারের জীবনের নিরাপত্তা কামনা করছি।

এই সময় সংবাদ সম্মেলন উপিস্থত ছিলেন,জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপিত মােখলেসুর রহমান। সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান রঞ্জু। সিনিয়র সহসভাপিত আব্দুল কুদ্দুস। সহসভাপিত শহিদুল ইসলাম। সাংগঠনিক সম্পাদক মিন্টু রহমান। সদস্য সচিব রুবেল মাহমুদ লালচান্দ। জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল মিরপুর শাখার আহবায়ক মামুন আহম্মেদ। সদস্য সচিব মুজাম মালিথা,সাধারণ সম্পাদক মহির উদ্দীন ও রােকন উদ্দীন প্রমূখ।