কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইবি থানার উজানগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবুর বাড়িতে দিনে-দুপুরে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে এই চুরি সংঘটিত হয়। চোর চক্র ঘরের তালা ভেঙে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঘরের তালা ভাঙা অবস্থায় রয়েছে এবং ঘরের ভেতরের সবকিছু এলোমেলো। চুরি হওয়া মালামালের মধ্যে রয়েছে স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা এবং গৃহস্থালি জিনিসপত্র।
ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমান হাবু জানান, "আমি সকাল ১০টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে বালিয়াপাড়ায় একটি মিটিংয়ে যাই। ফিরে এসে দেখি, ঘরের তালা ভাঙা, সবকিছু লুট হয়ে গেছে। আমার জীবনের সব সঞ্চয় শেষ হয়ে গেল। আমি দীর্ঘদিন ধরে মানুষের সেবা করেছি, কিন্তু আমার সঙ্গেই এমন ঘটনা ঘটবে, এটা আমি কল্পনাও করিনি।"
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুজ্জামান খোকন বলেন, "সোনাইডাঙ্গা গ্রামে এমন ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। দেশের স্বৈরশাসক পালিয়েছে, কিন্তু তার গুন্ডাবাহিনী এখনো চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি চালিয়ে দেশকে অশান্ত করে তুলছে। আমরা চাই, এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।"
চুরির ঘটনায় হাবিবুর রহমান হাবুর জামাতা সাইদুল ইসলাম বলেন, "আমার স্ত্রীর সব গহনা, শাশুড়ির হাতের চুড়ি, দুলসহ যাবতীয় কিছু চুরি হয়ে গেছে। দিনে-দুপুরে এমন চুরি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। মনে হচ্ছে, পরিকল্পিতভাবে চোরেরা এই কাজ করেছে। কিন্তু গ্রামের মধ্যে এত বড় চুরি হলো, কেউ কিছু দেখল না—এটা আমরা বিশ্বাস করতে পারছি না।"
এ ঘটনায় উজানগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মজিদ বলেন, "এই চুরির মাধ্যমে বিএনপি নেতাকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।"
সোনাইডাঙ্গা গ্রামের কয়েকজন জানান, তারা বাড়ির ভেতর থেকে কিছু শব্দ শুনতে পেলেও গুরুত্ব দেয়নি। তবে চুরির ঘটনায় গ্রাম থেকে কেউ জড়িত আছে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত নন তারা।
বিকেল ৫টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ইবি থানার এসআই রাকিব ও ডিএসবি মাহমুদ। তবে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ বা মামলা দায়ের করা হয়নি, তবে প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।