নিজস্ব প্রতিবেদক,কুষ্টিয়া :
:
আগামী ২৬ মার্চ কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে একদল দুর্বৃত্তরা প্রকাশ্যে দিবালোকে কুষ্টিয়ার আদালত চত্ত¦রে হামলা চালিয়ে নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুর করে। এ সময় এক ব্যক্তি মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করতে গেলে তার মাথায় আঘাত করে আহত করা হয়েছে। কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে এ ধরনের ঘটনা বিরল ইতিহাস সৃষ্টি করেছে।
জানা গেছে, একদল যুবক আদালতে মামলার হাজিরা দিতে এসে ফিরে যাবার পথে আইনজীবী সমিতির নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা চালায়। ব্যাপক ভাংচুর করাকালে যুবদলের শ্লোগানও দিতে থাকে বলে অনেকেই জানায়। তবে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন আইনজীবী বলেন, এই ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে যুবদল ও ছাত্রদলের ছেলেরা। তারা তাদের মামলায় সোমবার আদালতে হাজিরা দিতে এসে বাড়ি ফিরে যাবার সময় এই হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপি সমর্থিত ২জন সভাপতি ও ২জন সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। যে গ্রুপ তাদেরকে পরাজিত ভাবছেন তারাই যুবদল ও ছাত্রদলের ছেলেদেরকে দিয়ে নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুর করিয়েছে। তিনি আরো বলেন, বিএনপি দলীয়ভাবে সার্জ কমিটি গঠন করে প্রার্থী দেয়ার কথা বললেও পরে সার্জ কমিটিকে পাশ কাটিয়ে জেলা বিএনপির সদস্য এ্যাডভোকেট গোলাম মোহাম্মদকে সভাপতি ও এ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদকে সাধারণ সম্পাদক করে নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষনা করেন। অপর দিকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাবেক সভাপতি বর্তমানে আদালতের জিপি এ্যাডভোকেট মাহাতাব উদ্দিন আইনজীবীদের সমর্থনে সভাপতি ও এ্যাডভোকেট শাকিল মাহমুদ সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনে লড়ছেন। এ্যাডঃ মাহাতাব উদ্দিন ও শাতিল মাহামুদ এর পক্ষে ফলাফল আসার সম্ভাবনা দেখেই পতিপক্ষরা এই হামলা চালিয়ে ভীতি সৃষ্টি করে নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা চালিয়েছেন।
সভাপতি প্রার্থী এ্যাডভোকেট মাহাতাব উদ্দিন বলেন, আজকের এই ঘটনা দেশ স্বাধীনের পর এটা একটা বিরল ঘটনার ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যা অতীতে কোন দিনও এধরনের ন্যাক্কার জনক ঘটনা কুষ্টিয়া বারে ঘটেনি। তিনি বলেন, আমরা ধারণা করছি পরাজয়ের আসংকায় পতিপক্ষরা এধরনের হামলা চালিয়ে নির্বাচন নস্যাৎ করার পায়তারা করেছে। তবে তাদের এই ষড়যন্ত্র সফল হবে না। নির্বাচন ২৬ ফেব্রুয়ারীতেই হবে। নির্বাচনে ভোটাররা যাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন তিনিই নির্বাচিত হবেন। তবে কারা ঘটিয়েছে এ ব্যাপারে তিনি আরো বলেন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখলেই সত্যতা পাওয়া যাবে। তবে এই ঘটনা যেই ঘটাকনা কেন আমরা তাদেরকে চিিহ্নত করে বিচারের আওতায় আনার জন্য জোর দাবি করছি।
অন্যান্য প্রার্থীরা বলেন, আমরা আদালতের কার্যক্রম নিয়ে ব্যস্ত থাকায় ঘটনা স্থলে ছিলাম না। ঘটনা শুনার পর ঘটনাস্থলে এসে দেখলাম বিএনপির সভাপতি প্রার্থী এ্যাডঃ গোলাম মোহাম্মদ ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ আব্দুল মজিদ এবং প্রতিপক্ষ বিএনপি প্রার্থীর সভাপতি এ্যাডঃ মাহাতাব উদ্দিনের নির্বাচনী ক্যাম্পসহ আশপাশের ক্যাম্প ভাংচুর করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রার্থীদের বিলবোর্ড পোষ্টার, ফেসটুন ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় একজন ছাড়া আর অণ্য কেউ আহত হয়নি। আইনজীবীরা বলেন, আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারী কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতি নির্বাচনকে ঘিরে আদালত পাড়ায় যখন সাজ সাজ রব চলছে ঠিক তখনিই এ ধরনের হামলা যেন আতংক সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে ঘটানো হলো।