কুষ্টিয়ায় হঠাৎ বৃদ্ধি চালের দাম : অযথা দাম বাড়ালে ব্যবস্থা : ডিসি

নিউজ ডেস্ক | shadinbangla.news
আপডেট : ১৬ জানুয়ারী, ২০২৫
Shadin Bangla
কুষ্টিয়ায় হঠাৎ বৃদ্ধি চালের দাম


শামসুল আলম স্বপন, কুষ্টিয়া   :


কুষ্টিয়ার বাজারে খুচরা ও পাইকারি চালের দাম কেজিতে তিন থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ, চালকল মালিক ও পাইকাররা হঠাৎ করে চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু চালকল মালিক ও পাইকারদের ভাষ্য, বাজারে ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদের চালের দাম বাড়াতে হয়েছে।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমান  দৈনিক আমাদের সময়কে জানান কোন অযুহাতে চালের দাম বৃদ্ধি করলে কাউকে ছাড় দেয়াা হবে না । তিনি নিজে ও মনিটরিং টিম দিয়ে বৃহত্তম চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগরে ও কুষ্টিয়া বিভিন্ন খুচরা বাজারে আজ (১৬ই জানুয়ারী (বৃহস্পতিবার) থেকে অভিযান চালাবেন। দামের অসংগতি দেখা গেলে করা হবে  জরিমানা নেয়া হবে আইনানুগ ব্যবস্থা।
এ দিকে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগরে ১০ দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি চিকন চালের দাম চার থেকে পাঁচ টাকা বেড়েছে। কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা বেড়েছে মোটা চালে। চলতি আমন মৌসুমে এ নিয়ে দুই দফায় চালের দাম বাড়ল।
চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন প্রধান জানান, খাজানগরের চালের মোকামে বাসমতি, মিনিকেট, কাজললতা ও স্বর্ণা ধানের দাম প্রতি মণে ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা বেড়েছে। সে জন্য তাদের চালের দাম কেজিপ্রতি ৫থেকে ৬ টাকা বাড়াতে হয়েছে।

মিল মালিক হাজি লিয়াকত আলীর ভাষ্য, ধানের দাম প্রতি মণে ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়েছে। সে কারণে চালের দামও বেড়ে গেছে। বর্তমানে মিলগেটে চিকন জাতের এক কেজি মিনিকেটের দাম পড়ছে ৭০ থেকে ৭৩ টাকা। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭৬ থেকে ৭৮ টাকা পর্যন্ত।
কাজললতা ৬০ থেকে বেড়েছে ৬৫ টাকা, আটাশ ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা এবং স্বর্ণা ৫০ টাকা থেকে ৫২ টাকা হয়েছে। খুচরা ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, খাজানগরে চালের দাম বাড়ালেও প্রশাসনের কোনো অভিযান বা নজরদারি না থাকায় খুচরা বিক্রেতারা ইচ্ছে মত দাম বাড়াচ্ছে।


কুষ্টিয়া পৌর বাজারের মা ট্রেডার্সেও মালিক চাল বিক্রেতা রিপন বলেন, ‘হঠাৎ করে চাল বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন কিছু মিল মালিক; দামও বাড়িয়েছেন তারা।’
নাম না প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মিল মালিক দৈনিক আমাদের সময়কে বলেন, ‘ধানের দাম বৃদ্ধির চেয়েও বড কারণ হলো কুষ্টিয়ার রশিদ এগ্রোর মালিক রশিদ ও তার সহযোগি মিলমালিকদের  কারসাজি। আওয়ামী লীগের নেতা রশিদ  সিন্ডিকেট করে ইচ্ছামতো চালের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। তিনি কয়েক বছর আগে তিনি সিন্ডিকেট করে সারাদেশে চালের বাজার অস্থির করে তুলেছিলেন।’ নাম না প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক মিল মালিক বলেন, অনেক মিল মালিক রশিদের অনুগত। তারা রশিদের কথামতো চালের দাম বাড়িয়ে দেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে রশিদের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
চালের দাম বৃদ্ধির কারণে কুষ্টিয়ার নিম্ন আয়ের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে । সাধারণ মানুষ জীবন চালাতে হিমি শিম খাচ্ছে। সুত্র: দৈনিক আমাদের সময় : ১৬/০১/২৫