উজ্জ্বল মাহমুদ, কুষ্টিয়া
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আলু ও পেঁয়াজের দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই। এর মধ্যে অন্যান্য সবজির দাম কমলেও, আলু ও পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি ক্রেতাদের মধ্যে হতাশা বাড়াচ্ছে।
বর্তমানে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকায়, যা গত মাসে ছিল ৫৫-৬০ টাকা। দেশি পেঁয়াজের দাম ১১০-১২০ টাকা থেকে বেড়ে ১৪০-১৫০ টাকায় পৌঁছেছে। তবে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ তুলনামূলক কম দামে, ১২০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।
বাজার করতে আসা ক্রেতা সাহাবুল বলেন, “আলুর দাম ৭০ টাকা, এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। পেঁয়াজের অবস্থাও একই রকম। কিন্তু এ দুটো পণ্য ছাড়া চলা সম্ভব নয়, তাই বাধ্য হয়ে কিনতে হয়। মাসে মাত্র পাঁচ কেজি আলু ও পেঁয়াজ কিনতে গিয়েও এখন প্রায় এক হাজার টাকা খরচ করতে হচ্ছে।”
পৌর বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীদের মতে, আলু ও পেঁয়াজের মৌসুম শেষের দিকে হওয়ায় প্রতি বছর এ সময়ে দাম বাড়ে। তবে এই বছর শুরু থেকেই দাম ছিল চড়া, যা এখন আরও বেড়ে বাজারকে অস্থিতিশীল করেছে।খোলা সয়াবিন তেল: ১৭০-১৯০ টাকা প্রতি লিটার।বোতলজাত সয়াবিন তেল: ১৬৭-১৭২ টাকা।
খোলা পাম তেল: ১৬২-১৬৫ টাকা।সুপার পাম তেল: ১৬৭-১৭০ টাকা।অন্যদিকে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কমেছে।ব্রয়লার মুরগি: ১৭৫-১৮০ টাকা (পূর্বে ১৯৫-২০০ টাকা)।সোনালি মুরগি: ৩০০-৩২০ টাকা।
ফার্মের ডিম: প্রতি ডজন ১৪৫-১৫০ টাকা।সবজির দাম তুলনামূলক কমেছে।ঢ্যাঁড়স, পটোল, ঝিঙা, চিচিঙা: ৫০-৬০ টাকা প্রতি কেজি।বেগুন, বরবটি, করলা, কাঁকরোল: ৮০-১০০ টাকা।ফুলকপি: ৭০ টাকা (পূর্বে ১০০ টাকা)।লাউ: ৪০-৬০ টাকা।
সবজি বিক্রেতা জাহিদুল বলেন, “শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ছে। আগামীতে দাম আরও কমবে।” তবে বিক্রেতা শামসুলের মতে, সবজির দাম তুলনামূলক কমলেও ক্রেতাদের জন্য স্বস্তি এখনো পুরোপুরি আসেনি।
সবমিলিয়ে, বাজারে আলু ও পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দামের কারণে অন্যান্য পণ্যের মূল্য হ্রাসের স্বস্তিও চাপা পড়ছে। ক্রেতারা এই পরিস্থিতি থেকে দ্রুত উত্তরণের প্রত্যাশা করছেন।