সন্তান মানুষের জন্য মূল্যবান সম্পদ ও দুনিয়ার সৌন্দর্য স্বরূপ। এই অমূল্য সম্পদকে যেভাবে প্রতিপালন করা হবে ঠিক সেভাবেই গড়ে উঠবে। ছেলে-মেয়েকে ধর্মীয় আদর্শে গড়ে তুললে তারা দুনিয়াতে যেমন উপকারে আসবে তেমনি পিতামাতার জন্য তারা পরকালে মুক্তির কারণ হবে। অন্যথায় জান্নাতের অন্তরায় হবে। আজ লক্ষ করুন ইডেনসহ বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের দিকে। বর্তমানে কিশোর গ্যাং, মাদক, বিভিন্ন অপকর্মে আমাদের স্নেহের সন্তানরা জড়িয়ে পড়ছে যাতে করে সন্তানদের জীবন নষ্ট হয়ে চলেছে তাই
সম্মানিত অভিভাবকদের প্রতি আহবান! আপনার সন্তান কোথায় যায় তা খেয়াল রাখুন,
প্রতিদিন লক্ষ্য রাখুন :--
১. সে কখন স্কুলে যায়।
২. স্কুল থেকে কখন বাসায় ফিরে।
৩. স্কুলে আসার সময় মোবাইল ফোন নিয়ে আসে কি না সাথে ব্লুটুথ ইয়ার ফোন।
৪. স্কুল ড্রেসের বাইরে অন্য কোন ড্রেস অতিরিক্ত হিসাবে রাখে কি না এমনকি কোন জার্সি পরে আসে কি না।
৫. মাথার চুল স্বাভাবিক আছে কি না।
৬. যদি প্রাইভেট পড়ে, কোথায় প্রাইভেট পড়ে, কখন পড়ে, সেখানে যোগাযোগ রাখবেন।
৭. মাঝে মধ্যে স্কুলে আসবেন তাকে না জানিয়ে।
৮. শ্রেণি শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ রাখবেন।
৯. কার সাথে মিশতেছে জানতে চেষ্টা করুন।
১০. প্রয়োজনের অতিরিক্ত টাকা দিবেন না।
১১. মাঝেমধ্যে স্কুলের ব্যাগ ও মানিব্যাগ(যদি থাকে) চেক করুন।
১২. স্মার্টফোন ব্যবহার করা নিষেধ করে দিবেন, যদি কোন তথ্যের প্রয়োজন হয়, তবে আপনি পাশে থেকে সহায়তা করুন।
১৩. আপনার সন্তানকে নিয়মিত স্কুলে পাঠাবেন।
১৪. যেকোনো সমস্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে, সম্ভব হলে শ্রেণি শিক্ষক বা প্রধান শিক্ষক এর সাথে যোগাযোগ করে এটার সত্যতা যাচাই করবেন।
কুরআনুল কারীম শিক্ষা দেয়া : মাতা-পিতার প্রধান দায়িত্ব হলো স্বীয় সন্তানকে দ্বীনি শিক্ষা দান করা। মহানবী (সা.) বলেছেন, প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর ওপর দ্বীনি জ্ঞান অর্জন করা ফরজ। (ইবন মাজাহ, বায়হাকি, মিশকাত পৃষ্ঠা ৩৪) হযরত আলী রা. বলেন, “তোমরা তোমাদের সন্তানদের তিনটি বিষয় শিক্ষা দাও। তন্মধ্যে রয়েছে তাদেরকে কুরআন তিলাওয়াত শিক্ষা ও কুরআনের জ্ঞান দাও।” [জামিউল কাবীর]
কুরআন শিক্ষা দেয়ার চেয়ে উত্তম কাজ আর নেই। হযরত উসমান রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ স. ইরশাদ, “তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি সেই যে নিজে কুরআন শিক্ষা করে ও অপরকে শিক্ষা দেয়।’’ [সহিহ বুখারি-৫০২৭] অন্যত্র ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি নিজের সন্তানকে কুরআন শরীফ নাজেরা পড়ায়, তার আগের ও পরের সকল গুনাহ মাফ হয়ে যায়। আর যে সন্তানকে হাফেজ বানাবে, তাকে হাশরের ময়দানে পূর্নিমার চাঁদের মত উজ্জ্বল করে উঠানো হবে, এবং তার সন্তানকে বলা হবে পড়তে শুরু কর। সন্তান যখন একটি আয়াত পড়বে, তখন পিতার একটি মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। এ ভাবে সমস্ত কুরআন পড়া হবে এবং মাতা-পিতার মর্যাদাও শেষ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে থাকবে।