স্বাধীনবাংলা নিউজ : কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের নাকের ডগায় গড়ে উঠেছে ডজনখানিক ডায়াগনস্টিক ও ক্লিনিক। এর মধ্যে একটি বাহার ডায়াগনস্টিক। গতকাল রোববার দুপুর ১২টার দিকে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জনের ডা. আকুল উদ্দিনের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যৌথভাবে অভিযানে নামে। বাহার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সকাল থেকে আসা রোগীদের নানা রকম পরীক্ষা-নীরিক্ষা চলছিল। বেশ কয়েকটি রিপোর্টও ডেলিভারি করা হয়েছে ততক্ষনে। তবে এসব পরীক্ষা-নীরিক্ষা চলছিল কোন প্যাথোলজিস্ট ছাড়াই। অভিযান পরিচালনাকালে তড়িঘড়ি একজন ছুটে আসেন। নিজেকে এ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রধান প্যাথোলজিষ্ট পরিচয় দেন। তবে জিজ্ঞাসাবাদে নানা অসঙ্গতির কথা জানালে তিনি ভোল পাল্টে বলেন আমি বিকেলে ডিউটি করি। সকালে কি হয় জানি না। অভিযান শুরু হলে কাগজপত্র লোপাট করার চেষ্টা করলে ধরা পড়ে যায়। এছাড়া এ প্রতিষ্ঠানটির এ-ক্সরে করার কোন অনুমোদন নেই। ২০০৩ সালে সর্বশেষ তাদের লাইসেন্স’র এ মেয়াদ পার হয়েছে। এরপর থেকে কোন অনুমোদন ছাড়াই চলে আসছে এ কারবার। এছাড়া আরো নানা অসঙ্গতি মেলে বাহারে। নানা অসঙ্গতি পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই অনুমোদনহীন এ-ক্সরে বিভাগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ প্রতিষ্ঠানে অভিযান শুরু হলে পাশের পুপলার নামের একটি ডায়াগনস্টিক তালা লাগিয়ে সটকে পড়ে। অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। পরে হাসপাতাল রোডে রয়েল ডায়াগনস্টিক ও ক্লিনিক নামের একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযানে নামে সিভিল সার্জন ডা. আকুল উদ্দিন ও ভোক্তার সহকারি পরিচালক সুচন্দন মন্ডল। এ ক্লিনিকে অপরিচ্ছন্ন অপারেশন থিয়েটার, যথাযথ পক্রিয়া ছাড়াও ওষুধ সংরক্ষনসহ চিকিৎসক না থাকার অভিযোগ পাওয়া যায়। সবকিছু ঠিকঠাক করতে কয়েক সপ্তাহের সময় দেওয়া হয়। একই সাথে জরিমানা করা হয় ৫০ হাজার টাকা। সিভিল সার্জন ডা. আকুল উদ্দিন বলেন,‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সকল নিয়ম মেনে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে হবে। আমরা ইতিমধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে নানা অনিয়ম পেয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।’ ভোক্তার সহকারি পরিচালক সুচন্দন মন্ডল বলেন, রোগীদের সাথে প্রতারনাসহ নানা অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইনে দুই প্রতিষ্ঠানকে ১ লক্ষ জরিমানা করা হয়েছে।’