মতিয়ার রহমানের সফলতার গল্প

নিউজ ডেস্ক | shadinbangla.news
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
Shadin Bangla
মতিয়ার রহমানের সফলতার গল্প

 

এস,এম,কে নাহার ,স্বাধীনবাংলা নিউজ, কুষ্টিয়া  :


বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের ৩য় পর্যায়ের আর্থিক সহযোগিতায়  কুষ্টিয়ার পিছিয়ে পড়া অনগ্রসর জনগোষ্ঠি ও যুব সমাজকে স্বাবলম্বী করে গড়ে  তোলার লক্ষ্যে  সেবা ( পল্লী উন্নয়ন সংস্থা ) এর উদ্যোগে  ২০১২ সালের  সেপ্টেবর  মাস থেকে সেবা কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের মাধ্যমে “ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার” শীর্ষক বিনা মূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করা হয়। যুব সমাজকে যুগপোযোগি আধুনিক কারিগরি শিক্ষা প্রদান করে আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলাই ছিল এই কর্মসূচির   মূল উদ্দেশ্য। প্রথম ব্যাচে ৩০ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করা হয় । এই কোর্সে ভর্তি হন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ-হরিপুর ইউনিয়নের বোয়াদলদহ গ্রামের মরহুম ওয়াসেল মল্লিকের ছেলে মতিয়ার রহমান । কম্পিউটার প্রশিক্ষন গ্রহনের আগে তিনি এ্যালুমিনিয়ামের হাড়-পাতিলের ব্যবসা করতেন। তখন তার মাসিক আয় ছিল ৯/১০ হাজার টাকা ।   এ টাকা দিয়ে তিনি অত্যন্ত কষ্টে সংসার চালাতেন।


কম্পিউটার শেখার পর:


কম্পিউটার শেখারপর ২০১৩ সালে মতিয়ার রহমান কুষ্টিয়া শহরের এন,এস,রোডে  একটি ষ্টুডিও’র দোকান দেন। নাম দেয়া হয় “ আাব্দুল্লাহ ডিজিটাল ষ্টুডিও”। তার দক্ষ হাতে নিপুণ ছবি তৈরীর প্রশংসা কুষ্টিয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।  স্কুল-কলেজের ছাত্র/ছাত্রীরা ছবি তোলার জন্য তার ষ্টুডিওতে ভিড় জমায়। বিশেষ করে তার ষ্টুডিও’র দোকানের আশে পাশে সান-আপ ইন্টারন্যাশনাল কিন্ডার গার্টেন স্কুল,  কুষ্টিয়া হাইস্কুল এন্ড কলেজ, কুষ্টিয়া মিশন স্কুল, কুষ্টিয়া ইসলামীয়া কলেজ অবস্থিত। এ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ শিক্ষার্থী তার ষ্টুডিও’র কাষ্টমার ।


মতিয়ার রহমান জানান  যখন হাড়ি-পাতিলের ব্যবসা করতাম তখন সংসারে অভাব অনটন লেগেই থাকতো।  অশান্তি ছিল পরিবারে।  কিন্তু বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহযোগিতায় সেবা কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার থেকে  প্রশিক্ষণ নিয়ে ষ্টুডিও’র দোকান দিয়ে এখন আমি অত্যন্ত সুখে আছি । প্রতি মাসে খরচ-খরচা বাদে প্রায় ৩০ /৩২ (ত্রিশ/বত্রিশ) হাজার টাকা আয় করি। তিনি বলেন এই আয় থেকে বড় মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। ছোট মেয়ের লেখা পড়ার খরচ চালাচ্ছি । এরপরও আমি প্রতিমাসে ৮ হাজার টাকা সঞ্চয় করি।


আমার আয়ের টাকা দিয়ে ভবিষ্যতে  ভালো বাড়ি করার স্বপ্ন দেখি। তিনি বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন ও সেবা (পল্লী উন্নয়ন সংস্থা) এর নির্বাহী পরিচালক বিশিষ্ট সাংবাদিক জনাব শামসুল আলম স্বপনের  প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ।