আল ইয়ামিম আফ্রিদি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জেরে ফের সংঘর্ষে জড়িয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক দুই উপ-গ্রুপ সিএফসি (চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার) ও সিক্সটি নাইনের অনুসারীরা। এতে পুলিশ ও নিরাপত্তা কর্মীসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৬ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।
এদের মধ্যে সিক্সটি নাইন সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দিন ও সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
সংঘর্ষে সিএফসির দুই কর্মী, সিক্সটি নাইনের দুই কর্মী, বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) ও একজন নিরাপত্তা কর্মী আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, বুধবার (৩১ মে) রাত সোয়া ১০টার দিকে হোটেলে খাবার খেতে গিয়ে দুই পক্ষের দুই কর্মীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এ ঘটনার জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় সিএফসির কর্মীরা শাহ আমানত হল ও সিক্সটি নাইনের কর্মীরা শাহজালাল হলের সামনে অবাস্থান নেন। দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।প্রায় দেড় ঘন্টা সংঘর্ষের পর রাত পৌনে বারোটার দিকে প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেও দুই পক্ষের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) দুপুর ১টার দিকে দ্বিতীয় দফায় সেই ঘটনার জেরে ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ।তিন ঘণ্টা ধরে চলা সংঘর্ষ থেমেছে র্যাবের আগমনে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দুইটি হলের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ অবস্থান করছে।এ ঘটনায় শাহ আমানত হলের দুই ছাত্র গুরুতর আহত হওয়ায় তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূরুল আজিম সিকদার বলেন,পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত ১০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে র্যাব ক্যাম্পাসে এসেছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।